১৪ই এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
দুদক চেয়ারম্যান হলেন বাঞ্ছারামপুরের কৃতি সন্তান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত আজ
কৃষিবিদ পলাশের অবৈধ কাউন্সিল বিরোধি মিছিলে আহত কর্মির খোজ-খবর নিলেন জনাব আব্দুর রাজ্জাক শিশু মিয়া
বাঞ্ছারামপুরে জুয়া খেলা অবস্থায় ৯ জন জুয়ারিকে মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার
বিচারিক ক্ষমতাসহ নির্বাহী মেজিস্ট্রেট এর দায়ীত্ব পেল সেনাবাহিনী
বাঞ্ছারামপুরে ৬৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ জন গ্রেফতার!
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছাত্রদল নেতা ফাহাদ সড়ক দূর্ঘনায় নিহত
ত্রাণের টাকা কোথায়? জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
আনিসুল ও সালমানের বিরুদ্ধে এবার অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা রাখার মামলা
শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আমাদের অঙ্গীকার, সেটা আমরা করবই: প্রধান উপদেষ্টা
কোটা সংস্কার দাবি কি আদালতের বাইরে সমাধান সম্ভব?
খাবার হোটেল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
বিসিবিকে না বলে দিলেন মুশতাক
বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমেছে ১৩৪ কোটি ডলার
আজ হিজরি নববর্ষ, কী এর ইতিহাস ও তাৎপর্য

খাবার হোটেল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

2386

অনলাইন ডেস্ক

গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়নের ডুমদিয়াবাজারের কাজল মিয়ার জীবিকা নির্বাহের একমাত্র সম্বল খাবার হোটেলটি ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এমনকি পৈতৃক সম্পত্তির ওই জায়গায় নতুন করে ঘর নির্মাণ করতে দিচ্ছে না তাকে। সহায়সম্বল হারিয়ে হতদরিদ্র কাজল মিয়া পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়ে হোটেলটি খোলার কোনো সমাধান না পেয়ে দিশাহারা কাজল মিয়া গত মঙ্গলবার স্থানীয় সাত ব্যক্তির নামে গাজীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলা করেছেন।

মামলাসূত্রে জানা যায়, ডুমদিয়া গ্রামের মৃত ছদরউদ্দিন মীরের ছেলে কাজল মিয়া (৪৬) বাড়ির পাশে ডুমদিয়াবাজারে পৈতৃক সম্পত্তিতে প্রায় ২০ বছর ধরে একটি টিনের ঘরে খাবার হোটেলের ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু প্রতিবেশীদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধে গাজীপুর আদালতে একাধিক মামলা চলমান থাকায় তারা প্রায়ই হোটেলটি দখল করে নেওয়ার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। গত ২৯ জুন কাজল মিয়া দুজন মিস্ত্রি নিয়োগ করে হোটেলটি মেরামত করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং টাকা-পয়সা ও বেশ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মীমাংসার জন্য স্থানীয় বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও তিনি কোনো সমাধান পাননি। তাই বিষয়টির আইনগত সমাধান চেয়ে গত মঙ্গলবার গাজীপুর আদালতে স্থানীয় আ. কাদির (৩৮), শরীফুল আলম (৩৫), হাবিবুর রহমান (৩২), হাদিউল ইসলাম (৪৮), মো. মোশারফ (৩২), মো. শাহাবউদ্দিন (৩৮) ও ফজলুল করিমের (৬৫) নামে একটি মামলা করেন। পরে আদালত পিবিআই গাজীপুরকে এ বিষয়ে তদন্ত করে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরীফুল আলম জানান, ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ২০০৭ সাল থেকে কাজল মিয়া ও তার ভাইদের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত একাধিক মামলা আদালতে চলমান থাকায় ওই জমিতে নতুন করে ঘর করতে কাজল মিয়াকে তারা নিষেধ করেছেন।

এ বিষয়ে পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, তিনি মামলার কপি এখনো হাতে পাননি। কপি হাতে পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

শেয়ার করুনঃ